বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাবিতে আবারও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৭ সদস্যের কমিটি  

  • প্রতিনিধি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়    
  • ২৯ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩৮

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে ‘কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি কমিটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ১১ জুলাই শিক্ষার্থীদের একাংশ সেই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আবারও সমন্বয়ক কমিটি ঘোষণা করেছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রোববার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ১৭ সদস্যের এ কমিটি গঠনের কথা জানানো হয়।

নতুন এ কমিটির সমন্বয়করা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বয়ক ছাড়া আন্দোলন চলার কারণে শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন। তা ছাড়া ক্যাম্পাসভিত্তিক সমন্বয়ক কমিটি না থাকায় বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীর নাম নিয়ে অনেক ‘দালাল’ প্রেস ব্রিফিং করে আন্দোলন সমাপ্ত ঘোষণা করছেন। এসব ‘দালালের’ দৌরাত্ম্য থামাতে এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজপথের পরীক্ষিতদের নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে পরামর্শ করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন। সোমবার ক্যাম্পাসে দেয়াল লিখন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সমন্বয়ক কমিটির সদস্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী মিশু, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা, উর্দু বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নওসাজ জামান, সিরামিক অ্যান্ড ভাস্কর্য বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ রিদম, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী সজীব। এ ছাড়াও দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ফুয়াদ রাতুল, প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের এফ. আর. এম. ফাহিম রেজা, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের তাসিন খান, পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের মেহেদী হাসান মারুফ, সমাজকর্ম বিভাগের ফৌজিয়া নৌরিন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সালাহউদ্দিন আম্মার, আইন বিভাগের মৃত্তিকা, আরবি বিভাগের মাহাদী হাসান মাহির, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের নুরুল ইসলাম শহিদ ও ব্যবসায় অনুষদ ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরুতে ‘কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন’-এর ব্যানারে একটি কমিটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন শিক্ষার্থীরা। গত ১১ জুলাই শিক্ষার্থীদের একাংশ সেই কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে।

শিক্ষার্থীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়েছে ওই সমন্বয়ক কমিটি।

পরে ১২ জুলাই থেকে কোনো সমন্বয়ক কমিটি ছাড়াই যাবতীয় কর্মসূচি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে পালিত হচ্ছিল।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আন্দোলনরত পাঁচ নেতা আট দফা দাবি জানিয়ে ৩০ কর্মদিবসের সময় বেঁধে দিয়ে সব ধরনের কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন চলার মধ্যে সেই মুহূর্তে এমন সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থী ও আন্দোলনরত অন্য নেতারা মেনে নিতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভ্রান্তি এড়াতে কেন্দ্রকে অবহিত করে গতকাল এ কমিটি গঠন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর